Dhaka ০৬:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫, ১৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:
দুর্গাপূজার শক্তিশালী অর্থনৈতিক বিস্তার মিয়ানমার-আরাকান আর্মির ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ সৃষ্টি করতে হবে দুর্গাপূজা প্রকৃতি ও মানবিক সম্পর্কের প্রতি গভীর ভালোবাসার বার্তা বহন করে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০০ ছুঁইছুঁই একাদশে বিশেষ কোটায় ভর্তি হলেন ৬০ শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামে নদী ভাঙন বেড়েছে, পাউবোর বরাদ্দের অপেক্ষা ক্রিকেটে বিনিয়োগ করছে সৌদি আরব, আয়োজন করবে ফ্যাঞ্চাইজি লিগ নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করেছে এনসিপি : ইসি ১৫ বছর পর মানব পাচার মামলায় আসামির যাবজ্জীবন মনোনয়নের বৈধতা পেলেন রেদুয়ান, নির্বাচন করতে হচ্ছে বুলবুল-ফাহিমকে

১৫ বছর পর মানব পাচার মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

  • Reporter Name
  • Update Time : ০২:২২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১ Time View

ফরিদপুরে ঘটনা ঘটার ১৫ বছর পর একটি মানব পাচার মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকাও আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. শাহীনুর রহমান ওরফে সবুজ শেখ (৩৭)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বন্দিগাঁ গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ শেখের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেলার মধুখালী উপজেলার ১৯ বছর বয়সী এক নারী ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। এ সময় প্রতারক ও পাচারকারী শাহীনুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। পরে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট শাহীনুর রহমান ওই নারীকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে জানা যায়, শাহীনুর বিয়ের নামে নাটক করে ওই নারীকে ভারতে পাচার করেছেন।

এই ঘটনায় কয়েকমাস পরে ভারতের আইনজীবী পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তি ওই নারীর বাবাকে ফোন করে জানান যে তার মেয়ে কলকাতার দমদম সেন্ট্রাল জেলে আটক আছে। এর কিছুদিন পর ওই নারী কলকাতার দমদম সেন্ট্রাল জেলের শৌচাগারে আত্মহত্যা করেন।

এরপর ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারের মাধ্যমে ওই নারীর মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি ও মধুখালী মহিলা পরিষদ।

এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, এই ঘটনায় মধুখালী থানায় মানব পাচার আইনে মামলা না নেওয়ায় ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মধুখালী থানাকে নির্দেশ দেন। পরে মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীনুর রহমানকে বিষয়টি তদন্ত করে ২০১১ সালের ১৫ মার্চ শাহীনুর রহমান ওরফে সবুজকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যান্তন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌশলী (পিপি) গোলামি রব্বানী ভুইয়া বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে এটি একটি যুগান্তকারী রায়। প্রতিনিয়ত নারীরা বিয়েসহ বিভিন্ন প্রলোভনের শিকার হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, এমনকি মারাও যাচ্ছেন।

Tag :

আপনার মন্ত্রব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

KAZAL REKHA

জনপ্রিয়

দুর্গাপূজার শক্তিশালী অর্থনৈতিক বিস্তার

১৫ বছর পর মানব পাচার মামলায় আসামির যাবজ্জীবন

Update Time : ০২:২২:৫৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ফরিদপুরে ঘটনা ঘটার ১৫ বছর পর একটি মানব পাচার মামলায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক থাকাও আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম মো. শাহীনুর রহমান ওরফে সবুজ শেখ (৩৭)। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বন্দিগাঁ গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ শেখের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জেলার মধুখালী উপজেলার ১৯ বছর বয়সী এক নারী ঢাকার একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। এ সময় প্রতারক ও পাচারকারী শাহীনুর রহমানের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। পরে ২০১০ সালের ৫ আগস্ট শাহীনুর রহমান ওই নারীকে নিয়ে পালিয়ে যান। পরে জানা যায়, শাহীনুর বিয়ের নামে নাটক করে ওই নারীকে ভারতে পাচার করেছেন।

এই ঘটনায় কয়েকমাস পরে ভারতের আইনজীবী পরিচয়দানকারী এক ব্যক্তি ওই নারীর বাবাকে ফোন করে জানান যে তার মেয়ে কলকাতার দমদম সেন্ট্রাল জেলে আটক আছে। এর কিছুদিন পর ওই নারী কলকাতার দমদম সেন্ট্রাল জেলের শৌচাগারে আত্মহত্যা করেন।

এরপর ভারতের কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনারের মাধ্যমে ওই নারীর মরদেহ দেশে আনার ব্যবস্থা করেন বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি ও মধুখালী মহিলা পরিষদ।

এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, এই ঘটনায় মধুখালী থানায় মানব পাচার আইনে মামলা না নেওয়ায় ওই নারীর বাবা বাদী হয়ে ২০১০ সালের ২৪ ডিসেম্বর ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মানব পাচার আইনে একটি মামলা করেন। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য মধুখালী থানাকে নির্দেশ দেন। পরে মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহীনুর রহমানকে বিষয়টি তদন্ত করে ২০১১ সালের ১৫ মার্চ শাহীনুর রহমান ওরফে সবুজকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।

ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যান্তন দমন ট্রাইবুনালের সরকারি কৌশলী (পিপি) গোলামি রব্বানী ভুইয়া বলেন, মানব পাচার প্রতিরোধে এটি একটি যুগান্তকারী রায়। প্রতিনিয়ত নারীরা বিয়েসহ বিভিন্ন প্রলোভনের শিকার হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন, এমনকি মারাও যাচ্ছেন।