ভারতের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ আর নেই। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে স্কুবা ড্রাইভিং করতে গিয়ে প্রাণ হারান তিনি। তার অকাল মৃত্যুর পর আসামজুড়ে নেমে আসে শোকের ছায়া। এখনও দেশজুড়ে ভক্তরা ভিড় জমাচ্ছেন গুয়াহাটির কামারকুচি এনসি গ্রামে। সেখানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সমাহিত করা হয়েছে।
ভারতের গণমাধ্যম জানায়, ১৪টি ভাষায় পড়ানো হবে জুবিন গার্গের জীবনী। এর মাধ্যমে ভারতের শিক্ষার্থীরা এই তারকার জীবন, সংগীতভুবনে অবদান এবং মানবিক দর্শনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবে।
কেবল ১৪টি ভাষায় পড়ানো হবে জুবিন গার্গের জীবনী তাই নয়, এদিকে ২৬ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয় দারুণ এক ঘোষণা দিয়েছে। তাদের সেন্টার ফর পারফর্মিং আর্টস অ্যান্ড কালচারের নাম পরিবর্তন করে রাখা হবে ‘জুবিন গার্গ সেন্টার’। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে স্থাপন করা হবে তার একটি ভাস্কর্য। এটি নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের অনুপ্রাণিত করবে বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এদিকে জুবিনের মৃত্যু নিয়ে ওঠেছে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ। নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন জুবিন। সেখানেই স্কুবা ড্রাইভিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি। মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হলে একাধিক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে তার ব্যান্ড দলের ড্রামার শেখরজ্যোতি গোস্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জুবিন গার্গ প্রায় ৪০টি ভাষায় ৩৮ হাজার গান গেয়েছেন। নিজের মাতৃভাষাসহ হিন্দি, বাংলাতেও আছে তার একাধিক সুপারহিট গান। সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন তিনি। তবে মানবিকতা আর বিদ্রোহ-বিপ্লবে বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকা জুবিন গার্গ হয়ে ওঠেছিলেন সব জাত-ধর্ম-বর্ণ ও শ্রেণি নির্বিশেষে সবার আপনজন। তারই প্রমাণ মিললো তার মৃত্যুর পর তাকে শেষ বিদায় জানাতে সেই দিল্লী বিমানবন্দর থেকে আসামের রাস্তা পর্যন্ত মানুষের ঢল নেমে আসায়।